বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বাঁশো লয়দাপাড়া গ্রামে মোরশেদা বেগম (৪৫) নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী তায়েজ উদ্দিনকে আটক করেছে।
নিহত মোরশেদা বেগম তালগাছী গ্রামের মৃত মকু মিয়ার মেয়ে। তায়েজ উদ্দিন বাঁশো গ্রামের মৃত কছির সর্দারের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, দুপুর আড়াইটার দিকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তায়েজ উদ্দিন হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে হাঁসুয়া ও কুড়াল দিয়ে স্ত্রী মোরশেদার ওপর হামলা চালান। ধারালো অস্ত্রের একের পর এক আঘাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ওই সময় তাদের ছোট মেয়ে মাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাকেও আঘাত করার চেষ্টা করা হয়। মেয়েটি আতঙ্কে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে প্রাণে রক্ষা পায়।
ঘটনার পর তায়েজ উদ্দিন বাড়ির মাটির দোতলায় অস্ত্রসহ লুকিয়ে পড়েন। পরে গ্রামবাসীরা তাকে খুঁজে বের করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
প্রতিবেশীদের মতে, তায়েজ উদ্দিন দীর্ঘদিন মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন এবং পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। দুই বছর আগে তাকে বাড়িতে আনা হয়। ঘটনার আগের দিনও স্বামী-স্ত্রী মাঠে একসঙ্গে কাজ করেছেন বলে তারা জানান। কেন হঠাৎ এমন নৃশংস ঘটনা ঘটল, তা তাদের বোধগম্য নয়।
নন্দীগ্রাম থানার ওসি ফইম উদ্দিন জানান, তায়েজ উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে এবং হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।
