সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের দুর্নীতি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল স্থগিত

দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎ করে শেয়ার বাজারে শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগ এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রতিবেদন জমা দিতে না পারায় ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ সাব্বির ফয়েজ নতুন করে আগামী ২৬ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। আদালতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম।

দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে গত ১৭ মে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামিরা অসাধু উপায়ে নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে প্রতারণামূলক, ফাটকাভিত্তিক ও অনুমাননির্ভর লেনদেনের মাধ্যমে বাজারে কারসাজি করে। তারা সংঘবদ্ধভাবে নির্দিষ্ট কিছু শেয়ারের দাম কৃত্রিমভাবে বাড়িয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রতারণার মাধ্যমে সেই শেয়ারে বিনিয়োগে প্রলুব্ধ করে। এর ফলে অসংখ্য বিনিয়োগকারী আর্থিক ক্ষতির শিকার হন এবং চক্রটি ২৫৬ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার ৩০৪ টাকার বেশি আত্মসাৎ করে।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, আসামি মো. আবুল খায়ের ওরফে হিরু শেয়ারবাজার থেকে অবৈধভাবে অর্জিত ২৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকারও বেশি অর্থ তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসানের সহায়তায় বিভিন্ন খাতে স্থানান্তরের মাধ্যমে ‘মানি লন্ডারিং’ করেন। হিরুর নামে থাকা ১৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৫৪২ কোটি টাকারও বেশি ‘অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন’ পাওয়া গেছে।

অভিযোগে উল্লেখ আছে, হিরুর কারসাজি করা প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স ও সোনালী পেপারস লিমিটেডের শেয়ারে সাকিব আল হাসান বিনিয়োগ করেন। এতে তিনি বাজার কারসাজিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রতারণার মাধ্যমে প্রলুব্ধ করে মোট ২ কোটি ৯৫ লাখ টাকারও বেশি অপরাধলব্ধ আয় শেয়ার বাজার থেকে উত্তোলন করেন।