জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক ভিসি হাসিবুর রশীদসহ ৩০ আসামির বিরুদ্ধে আজ (সোমবার, ১৩ অক্টোবর) দশম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলের সামনে এই সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। গত ৬ অক্টোবর নবম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়, যেখানে পুলিশের দুই উপ-পরিদর্শক এসআই রফিক ও এসআই রায়হানুল রাজ দুলাল জব্দ তালিকার সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মঈনুল করিম, আবদুস সোবহান তরফদার এবং প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ। এর আগে, ২৯ সেপ্টেম্বর অষ্টম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণে তিনজন সাক্ষী জবানবন্দি দেন।
মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ২৮ আগস্ট, আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেনের জবানবন্দি ও সাংবাদিক মঈনুল হকের সাক্ষ্য দিয়ে। এর আগে ৭ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রাজিবুল ইসলাম, এনটিভির সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট একেএম মঈনুল হক, এবং ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার লাইব্রেরিয়ান আনিসুর রহমানসহ বিভিন্ন সাক্ষীরা জবানবন্দি দেন।
এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ছয় আসামি হলেন – এএসআই আমির হোসেন, বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ। বাকি ২৪ আসামি এখনও পলাতক রয়েছেন। তাদের পক্ষে চারজন সরকারি খরচে নিয়োগপ্রাপ্ত আইনজীবী শুনানি পরিচালনা করছেন।
মামলায় মোট সাক্ষীর সংখ্যা ৬২ জন। ৩০ জুন ট্রাইব্যুনাল আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গ্রহণ করেন, ২৪ জুন তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়, এবং ২৭ আগস্ট প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়।
জানা গেছে, সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরার মাধ্যমে মামলার তথ্য যাচাই ও প্রমাণ সংগ্রহ অব্যাহত রয়েছে, যাতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়।





