মানি লন্ডারিং মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

রাজধানীর রমনা থানায় দায়ের করা মানিলন্ডারিং মামলায় জামিনে থাকা যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিল করেছেন আদালত। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

রোববার (২৬ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান এ আদেশ প্রদান করেন।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী জানান, সম্রাট জামিনে থাকা অবস্থায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। তিনি আদালতের অনুমতি ছাড়াই বিদেশে গমন করেন। এই পরিস্থিতিতে তার ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফের আদেশ বাতিল এবং জামিন বাতিলের আবেদন করা হয়। আদালত আবেদন গ্রহণ করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলার আরেক আসামি আরমানও আদালতে হাজির না হওয়ায় তার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেওয়া হয়েছে।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ও আসামিদের উপস্থিতির জন্য তারিখ নির্ধারিত ছিল। সেদিন সম্রাটের আইনজীবী ২০৫ ধারায় হাজিরা দেন। রাষ্ট্রপক্ষ হাজিরা বাতিলের আবেদন করলে বিচারক জানতে চান সম্রাট কোথায় অবস্থান করছেন। আইনজীবী অস্পষ্ট জবাব দিলে বিচারক নির্দেশ দেন, রোববার সম্রাটকে উপস্থিত করে শুনানি করতে হবে।

২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সিআইডির উপপরিদর্শক রাশেদুর রহমান বাদী হয়ে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলাটি দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, কাকরাইলের ‘মেসার্স হিস মুভিজ’ কার্যালয়ে বসে সম্রাট রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন। ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৯ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে তিনি বিপুল অর্থ উপার্জন করেন এবং সহযোগী এনামুল হক আরমানের মাধ্যমে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় প্রায় ১৯৫ কোটি টাকা পাচার করেন।

অভিযোগে আরো উল্লেখ রয়েছে, সম্রাট ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ৩৫ বার, মালয়েশিয়ায় তিনবার, দুবাইয়ে দুইবার এবং হংকংয়ে একবার ভ্রমণ করেন। একই সময়ে আরমান সিঙ্গাপুরে যান ২৩ বার।

[news_photocard_button text="ফটোকার্ড দেখুন "]