দুই ধর্ষণ মামলায় তিন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ রাজধানীতে সংঘটিত পৃথক দুই ধর্ষণ মামলায় তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। সোমবার (২৭ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. গোলাম কবীর এই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল এলাকায় ১২ বছর বয়সী এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে বাড়ির ম্যানেজার আব্দুল গাফফার ও তার সহযোগী মো. বাচ্চুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। গাফফার পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানার সঙ্গে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

এ ছাড়া ছয় বছর আগে রাজধানীর রামপুরায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে বাচ্চু মিয়া হাওলাদার নামে আরেক আসামিকেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় দোষী দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

প্রতিটি মামলায় আসামিদের এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়।

মামলাসমূহের সংক্ষিপ্ত বিবরণ

মাতুয়াইল ধর্ষণ মামলা
২০২০ সালের ১৬ অক্টোবর দুপুরে ভুক্তভোগীর মা–বাবা কর্মস্থলে গেলে আসামিরা শিশুটিকে বাসায় একা পেয়ে ধর্ষণ করে। বিষয়টি কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেয় তারা। পরে ঘটনা জানাজানি হলে ভুক্তভোগীর মা যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলায় ১৪ জনের মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

রামপুরা ধর্ষণ মামলা
২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল দুপুরে শিশুটিকে দোকান থেকে ঠান্ডা এনে দিতে বলে ডেকে রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে আসামি বাচ্চু মিয়া হাওলাদার। শিশুটি দীর্ঘক্ষণ না ফেরায় মা খুঁজতে গেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি জানতে পারেন। ওইদিনই রামপুরা থানায় মামলা করা হয়। তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দাখিল এবং ১৬ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলায় ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল।

দুই মামলার রায়ে ভুক্তভোগীদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার পাশাপাশি নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের প্রতিফলন ঘটেছে বলে আদালত পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেন।

[news_photocard_button text="ফটোকার্ড দেখুন "]