‘আল্লায় সংযোগরে আরও বড় করুক’

সৈয়দ মুহাম্মদ রিফাত

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার মো. আব্দুর রশিদ। দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন দুই পায়ের রগজনিত সমস্যায়। যারফলে, উঠে দাঁড়াতে পারেন না তিনি। দিনের পর দিন প্লাস্টিকের চেয়ারে বসেই দিন কাটতো তার।

এমতাবস্থায় লোকমারফত খোঁজ পান সংযোগ কানেক্টিং পিপল ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠন অসহায় মানুষদের জন্য কাজ করে। স্থানীয় সংযোগ স্বেচ্ছাসেবীর কাছে নিজের নাজেহাল অবস্থার কথা জানালে সংগঠনটি মো. আব্দুর রশিদের অবস্থা পর্যালোচনা করে তাকে দ্রুত তাকে একটি হুইলচেয়ার প্রদাণ করে সংযোগ। হুইলচেয়ার বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন- সংযোগ ভলেন্টিয়ার বাংলাদেশ ‘এসভিবি’ এর কুড়িগ্রাম জেলা টিম।

হুইলচেয়ার পেয়ে পেয়ে মো. আব্দুর রশিদ বলেন, আগে সারাদিন চেয়ারে বইসা থাকতাম। বয়স হইছে, তার উপর পায়ের রগে সমস্যা। হাঁটা চলা তো আর করতে পারি না। মাঝেমধ্যে একটু ঘুরতে মন চাইতো, পারতাম না। সারাদিন প্লাস্টিকের একটা চেয়ারে বইসা সময় কাটতো। এখন আমি ঘুইরা বেরাইতে পারি। কারন আমার হুইলচেয়ার আছে। সংযোগ’র লোকেরা আমারে একটা হুইলচেয়ার দিছে। আল্লাহ সংযোগরে আরও বড় করুক।

এ বিষয়ে সংযোগ’র প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ জাভেদ জামাল বলেন, আমি জানতে পারি যে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার মো. আব্দুর রশিদ দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন দুই পায়ের রগজনিত সমস্যায়। তিনি হাঁটাচলা করতে পারেন না। পরবর্তীতে সংযোগ ভলেন্টিয়ার বাংলাদেশ ‘এসভিবি’ এর কুড়িগ্রাম জেলা টিমকে নির্দেশনা দিলে তারা সেই মোতাবেক চাচার কাছে হুইলচেয়ারটি পৌছে দেন।

তিনি আরও বলেন, জীবনে চলার পথে অনেকের অনেক কিছুর প্রয়োজন হয়। যারা বিত্তবান বা যাদের ক্রয়ক্ষমতা আছে তাদের প্রয়োজনের অভাব সহজেই মিটে যায়। কিন্তু অনেক অসহায় মানুষ আছে যারা মানুষের কাছে কিছু হাত পেতে নেয়া পছন্দ করেন না। তাদের জন্যই আমাদের এই সংগঠন ‘সংযোগ’ কানেক্টিং পিপল ফাউন্ডেশন। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করি মানুষের পাশে থাকার।