বাংলাদেশে শাখা খোলার আগ্রহ প্রকাশ করেছে রাশিয়ান ব্যাংক

বাংলাদেশে শাখা খোলার আগ্রহ দেখিয়েছে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ব্যাংক এসবার। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও সহজ করতে ও ডলারের বিকল্প মুদ্রায় লেনদেন চালু করতে বাংলাদেশে শাখা খুলতে চায় তারা।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, শাখা খোলার বিষয়ে এসবার ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে বাংলাদেশে ব্যাংকের সঙ্গে দু’বার আলোচনায় বসেছে।

এসবার ব্যাংকের নির্বাহী বোর্ডের ডেপুটি চেয়ারম্যান আনাতোলি পপভ বলেছেন, বাংলাদেশি কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসা করা রুশ ক্লায়েন্টদের অনুরোধে ব্যাংকিং সেবা চালুর সব শর্ত ও সম্ভাবনা পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক দুই বৈঠকে এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ব্যাংকটি শাখা খোলার আইনি শর্ত ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের বিষয়ে জানতে চেয়েছে।

দ্বিতীয় দফার বৈঠকে বাংলাদেশে বিদেশি ব্যাংকের শাখা খুলতে যেসব তথ্য সরবরাহ করতে হবে, তার একটি তালিকা এসবার ব্যাংককে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি যেসব শর্ত আছে সেগুলোও বলা হয়েছে।

বাংলাদেশি এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, বিদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শাখা খুলতে ব্যাংকিং নীতিমালা পরিপালনের পাশাপাশি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে সরকারও সম্পৃক্ত। এজন্য এসবার ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকার রুশ দূতাবাসের প্রেস অ্যাটাচে আমাতুলা খানোভা জানিয়েছেন, সংবাদমাধ্যমকে জানানোর মতো আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত দূতাবাসের কাছে নেই। আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তে পৌঁছালেই জানানো হবে।

ভারতের বেঙ্গালুরুতে একটি আইটি অফিস স্থাপনের অনুমতি পেয়েছে এসবার ব্যাংক। তাছাড়া ভারতে ২০১০ সাল থেকেই এ ব্যাংকের একটি শাখা চালু রয়েছে।

ভারতে চালু করা নতুন হাবটি আইটিবিষয়ক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি সেখানে ২০০ জন বিশেষজ্ঞও নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে এসবার কর্তৃপক্ষ।

রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে ‘সামরিক অভিযান’ শুরুর পরপরই মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে এসবার ব্যাংক। তাছাড়া ইউরোপীয় বাজার থেকেও ব্যাংকটিকে প্রত্যাহার করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পশ্চিমারা মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় রাশিয়া এখন এশিয়ায় তাদের ব্যবসায়িক অংশীদার খুঁজছে। আর তারই ফলস্বরূপ ‘এসবার’ ভারত ও বাংলাদেশে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার কথা গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে।