ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় মিন্দানাও দ্বীপপুঞ্জে পরপর দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। প্রথমটি ছিল ৭ দশমিক ৬ এবং দ্বিতীয়টি ৭ দশমিক ২ মাত্রার। ভূমিকম্পের পর ফিলিপাইনের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ সংস্থা সুনামি সতর্কতা জারি করেছে।
প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের সুনামি সতর্কতা সংস্থা (প্যাসিফিক সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টার) জানিয়েছে, সুনামির জলোচ্ছ্বাসের সময় ফিলিপাইনের কিছু এলাকায় সাগরের ঢেউয়ের উচ্চতা ১০ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া, প্রতিবেশী দেশ ইন্দোনেশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র পালাউয়েও সুনামির প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফিলিপাইনের ভূমিকম্প ও অগ্নুৎপাত পর্যবেক্ষণ সংস্থা (দ্য ফিলিপাইন ইনস্টিটিউট অব ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি) জানিয়েছে, সুনামির প্রভাব কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হতে পারে।
ইন্দোনেশিয়ার ভূমিকম্প ও ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থাও সুনামি সতর্কতা জারি করেছে। তাদের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার উপকূলীয় এলাকায় সুনামির সময় ঢেউয়ের উচ্চতা ৩ ফুটের বেশি হতে পারে।
আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৪৩ মিনিটে মিন্দানাওয়ের পূর্বাঞ্চলে প্রথম ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর কিছুক্ষণ পরই দ্বিতীয় ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
মার্কিন ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্প দুটির উৎপত্তিস্থল ছিল মিন্দানাওয়ের মানায় শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে এবং ভূপৃষ্ঠের ৫৮ দশমিক ১ কিলোমিটার গভীরে। রাজধানী দাভাও থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১২৩ কিলোমিটার।
ভূমিকম্পের আধা ঘণ্টা পর মিন্দানাওয়ে একাধিক ‘আফটারশক’ অনুভূত হয়, যেগুলোর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬ থেকে ৬ পর্যন্ত।
দাভাওয়ের গভর্নর এডউইন জুবাহিব জানান, “দু’টি ভূমিকম্পই ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী। মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে, তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।”
উল্লেখ্য, মাত্র দুই সপ্তাহ আগে ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ সেবুতে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল এবং বহু মানুষ আহত হয়েছিলেন।





