যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। তার দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে প্রায় ৫ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিভাগ (ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি – ডিএইচএস) মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৪ লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি অনথিভুক্ত অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৭০ শতাংশের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে বা তারা অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
ফ্লোরিডায় এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তামন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম বলেন, “আমরা দেশজুড়ে এমন পদক্ষেপ নিচ্ছি যাতে আমাদের কমিউনিটিগুলো আরও নিরাপদ হয়, পরিবারগুলো সমৃদ্ধ হতে পারে এবং নাগরিকরা সেই স্বাধীনতা ভোগ করতে পারে, যার ভিত্তিতে এই দেশ গড়ে উঠেছে।”
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার প্রশাসনের ধরপাকড় অভিযানকে ‘রেকর্ড ভাঙা অভিযান’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রাম্প ট্রুথে লিখেছেন, “আমার প্রশাসনের অধীনে এফবিআই অসাধারণ কাজ করছে। চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৮ হাজারেরও বেশি সহিংস অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা যুক্তরাষ্ট্রে আইন ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনছি।”
এর আগে ডিএইচএস জানিয়েছে, চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি থেকে মোট ২০ লাখ অবৈধ অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে গেছেন। এর মধ্যে প্রায় ১৬ লাখ স্বেচ্ছায় দেশত্যাগ করেছেন এবং ৪ লাখেরও বেশি মানুষকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাসিত করা হয়েছে।
নোয়েম ও ট্রাম্প উভয়ের বক্তব্যই দেখাচ্ছে, দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে।





