গাজায় যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের জন্য নতুন সংস্থা গঠন যুক্তরাষ্ট্রের

যুক্তরাষ্ট্র গাজায় যুদ্ধবিরতিকে কার্যকর ও টেকসই করতে ‘সিভিল-মিলিটারি কো-অর্ডিনেশন সেন্টার’ নামে একটি সংস্থা গঠন করেছে। সংস্থাটির বেসামরিক প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ইয়েমেনের সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিভেন ফ্যাগিন।

ফ্যাগিন ২০২২ সালে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দ্বারা ইয়েমেনে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন এবং নতুন দায়িত্ব গ্রহণের আগ পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই নিয়োগের তথ্য নিশ্চিত করেছে। শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজায় প্রেসিডেন্ট প্রস্তাবিত ২০ পয়েন্টের যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার পূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে এই সংস্থা গঠন করা হয়েছে।

সংস্থার সামরিক বিভাগের প্রধান করা হয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ডের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল প্যাট্রিক ফ্রাংককে। সংস্থায় বিভিন্ন স্তরের ও পদমর্যাদের দুই শতাধিক সেনা কর্মকর্তা নিয়োগ পেয়েছেন। গত সপ্তাহে দক্ষিণ ইসরায়েলের কিরইয়াত গাত শহরে সংস্থার সদর দপ্তর উদ্বোধন করা হয়েছে। সদর দপ্তর ইসরায়েলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেল আবিব থেকে ৫৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য গত ২৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০ পয়েন্টের একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। ইসরায়েল ও হামাস উভয় পক্ষ এই পরিকল্পনায় সম্মত হন এবং ১০ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে গাজায় আটক ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি, ত্রাণ প্রবেশে বাধাহীনতা এবং ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহারের বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।

তবে বিরতির ১৫ দিন পার হলেও পরিকল্পনার সব শর্ত পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। এই কারণে সংস্থার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি কার্যকর ও টেকসই করার উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

[news_photocard_button text="ফটোকার্ড দেখুন "]