নামজারি আবেদন নিষ্পত্তিতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে রাজউক

রেকর্ডভুক্তকরণ ও নামজারি সংক্রান্ত আবেদন নিষ্পত্তিতে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাজউক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে সংস্থার সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) শেখ মতিয়ার রহমান এ বিষয়ে একটি নোটিশ জারি করেন।

নোটিশে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০-এর ১৪২ ধারা এবং ১১৬ ও ১১৭ ধারার বিধান অনুযায়ী ভূমির মালিকানা হালনাগাদ করা হয়ে থাকে। ভূমি হস্তান্তর বা মালিকের মৃত্যুর কারণে মালিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কেবল রেকর্ড হালনাগাদ করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় রাজউক শুধুমাত্র তার গৃহীত ও বাস্তবায়িত প্রকল্পের আওতাধীন বরাদ্দকৃত প্লট বা ফ্ল্যাটের রেকর্ডভুক্তকরণ ও নামজারির অনাপত্তিপত্র (NOC) প্রদান করে থাকে।

সেবার মানোন্নয়ন ও নামজারি প্রক্রিয়া সহজ করার লক্ষ্যে নোটিশে বলা হয়, রেকর্ডভুক্তকরণ ও নামজারির আবেদন নিষ্পত্তির সময় নথিতে থাকা অথবা আবেদনকারীর জমাকৃত দলিল ও প্রমাণ যাচাই করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি ছাড়া আবেদনকারীর হাজিরা গ্রহণের প্রয়োজন হবে না।

উত্তরাধিকারসূত্রে রেকর্ডভুক্তকরণের ক্ষেত্রে লিজগ্রহীতার মৃত্যুর পর আদালতের সাকসেশন বা উত্তরাধিকার সনদ দাখিলের প্রয়োজন নেই। বরং স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষ (ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন) কর্তৃক প্রদত্ত উত্তরাধিকার সনদ অনুযায়ী আবেদন নিষ্পত্তি করতে হবে। প্রয়োজনে উক্ত সনদের সত্যতা যাচাই করা যেতে পারে।

উত্তরাধিকার সনদ অনুযায়ী যে কোনো একজন উত্তরাধিকারী আবেদন করলে সকল উত্তরাধিকারীর নামে রেকর্ডভুক্তকরণ করা যাবে। এ ক্ষেত্রে সকল ওয়ারিশের জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মনিবন্ধন সনদ ও সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে। উত্তরাধিকার সনদে প্রত্যেকের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর বা জন্মনিবন্ধন নম্বর উল্লেখ থাকা বাঞ্ছনীয়।

লিজ দলিল সম্পাদনের আগে মূল বরাদ্দগ্রহীতার মৃত্যু হলে সংশোধিত বরাদ্দপত্র ইস্যুর ক্ষেত্রেও একই নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। কোনো দলিল বা সনদে ভুল পাওয়া গেলে তার দায় আবেদনকারী ও সনদ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের ওপর বর্তাবে। এতে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডভুক্তকরণ বা নামজারি বাতিল বলে গণ্য হবে।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, আবেদনকারীর জমাকৃত তথ্য বা দলিলের কারণে ভবিষ্যতে কোনো জটিলতা দেখা দিলে তার দায় রাজউকের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর নয়। রেকর্ডভুক্তকরণ ও নামজারি সংক্রান্ত সেবামূল্য ও পরিশোধের পদ্ধতি পূর্বের মতোই বহাল থাকবে।