২০২৬ হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে সৌদি সরকারের ৬ নতুন নির্দেশনা

আগামী বছরের হজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। বুধবার (১৪ অক্টোবর) এসব নির্দেশনার বিষয়ে এজেন্সিগুলোর কাছে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ২৬ মে হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি বছর বাংলাদেশের জন্য হজের কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। প্রাথমিক নিবন্ধন শেষ হবে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর)।

সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে সৌদি সরকারের দেওয়া নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

সৌদি হজ মন্ত্রণালয়ের ছয় নির্দেশনা:
১।হজ চুক্তির খসড়া তৈরির জন্য সরকারি ও বেসরকারি হজযাত্রীর সংখ্যা, জেদ্দা ও মদিনা বিমানবন্দর দিয়ে আগমন-প্রস্থান সংক্রান্ত তথ্য জরুরিভিত্তিতে পাঠাতে হবে।

২। কোনোভাবেই হজযাত্রীদের অনুমোদিত ভবনের বাইরে আবাসনের ব্যবস্থা করা যাবে না। মাসার সিস্টেমের বাইরে আবাসনের প্রমাণ মিললে সংশ্লিষ্ট এজেন্সি ও এর প্রধানকে কালো তালিকাভুক্ত করে সৌদি আরবে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হবে।

৩️। গত বছরের কালো তালিকাভুক্ত কোনো এজেন্সি ২০২৬ হজ মৌসুমে অংশ নিতে পারবে না।

৪️। কার্যকর যোগাযোগের জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হবে, যেখানে এজেন্সিগুলোকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় তথ্য-যেমন হজযাত্রী সংখ্যা, তাঁবু বুকিং, লিড এজেন্সির বিবরণ ও ব্যাংক তথ্য আপলোড করতে হবে।

৫️। সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারিত নয়টি জটিল রোগে আক্রান্ত কেউ হজে যেতে পারবেন না। হজযাত্রীদের জন্য হজ অ্যাফেয়ার্স সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক থাকবে। সার্টিফিকেট প্রদানে গাফিলতি ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট মেডিকেল টিম ও কর্মকর্তাদের ভবিষ্যতে নিষিদ্ধ করা হবে।

৬️।২০২৬ সাল থেকে হজযাত্রীদের নুসুক কার্ড বিমানবন্দর থেকে হোটেলে নিয়ে যাওয়ার বাসে সরবরাহ করা হবে। এজন্য আগে থেকেই মক্কা ও মদিনার হোটেল সংক্রান্ত সব তথ্য (নাম, ঠিকানা, কক্ষ ও বেড নম্বর) জমা দিতে হবে।

[news_photocard_button text="ফটোকার্ড দেখুন "]