লিগের রেজিস্টার্ড ফুটবলারও বাফুফের কমিটিতে

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) স্ট্যান্ডিং কমিটি নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছে। ফেডারেশন আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই ফাঁস হয়েছে পেশাদার লিগ ও টেকনিক্যাল কমিটি। আবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দল কমিটি এখনও সামনে আসেনি।

গত কয়েকদিনে অবশ্য বেশ কয়েকটি স্ট্যান্ডিং ও অ্যাডহক কমিটি প্রকাশ পেয়েছে। সেই সকল কমিটির মান ও গভীরতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ইতোমধ্যে। বাফুফের বিভিন্ন কমিটিতে মূলত সাবেক ফুটবলার, ক্রীড়া সংগঠক, ফুটবল/ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও অনুরাগীরা থাকেন। বাফুফে ঘোষিত বিচ ফুটবল কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম। যিনি চলতি মৌসুমে ফর্টিজ এফসির রেজিস্টার্ড খেলোয়াড়।

প্রিমিয়ার লিগে নিবন্ধিত ফুটবলার বাফুফের কোনো কমিটিতে থাকার ঘটনা ইতোপূর্বে দেখা যায়নি। বাফুফের গঠনতন্ত্রে স্ট্যান্ডিং ও অ্যাডহক কমিটি অংশে বর্তমান খেলোয়াড় কেউ কমিটিতে থাকতে পারবে না– বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে নেই। গঠনতন্ত্রে না থাকলেও একইসঙ্গে খেলোয়াড় ও বাফুফের কমিটিতে জায়গা পাওয়ার বিষয়টি বৈসাদৃশ্য। যদিও বিচ ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান ও বাফুফে কর্তৃপক্ষ এর অনুমোদন দিয়েছে।

মামুনুল ফর্টিজে নিবন্ধিত থাকলেও মাঠে অনিয়মিত। ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় মামুন কাজ করছেন সংগঠক হিসেবে। চট্টগ্রাম আবাহনী এবার লিগে খেলার পেছনে মামুন ও তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু জাহিদ হাসান এমিলির অবদান সবচেয়ে বেশি। গত দেড় যুগে বাংলাদেশের ফুটবলে মামুনুল সেরা ফুটবলারদের একজন। জ্ঞান ও অভিজ্ঞতায় তিনি বাফুফের যেকোনো কমিটিতেই থাকতে পারেন, কিন্তু একই ব্যক্তি নিবন্ধিত খেলোয়াড় আবার ফেডারেশনের কমিটিতে বিষয়টি আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন না হলেও অসামঞ্জস্য বলে ধারণা ফুটবলসংশ্লিষ্টদের।

[news_photocard_button text="ফটোকার্ড দেখুন "]