দুই বছর আগে আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে শেষ ষোলোয় নাইজেরিয়ার কাছে ২-০ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছিল স্বাগতিক আর্জেন্টিনা। তবে সেই পরাজয়ের প্রতিশোধটা এবার একই মঞ্চে দারুণভাবে তুলে নিলেন তরুণ আলবিসেলেস্তেরা। চিলির সান্তিয়াগোয় অনুষ্ঠিত চলতি অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় নাইজেরিয়াকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে আর্জেন্টিনা।
গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচেই জয় তুলে নেওয়া আর্জেন্টিনা করেছিল ৮ গোল। শেষ ষোলো মিলিয়ে চার ম্যাচে এখন পর্যন্ত তারা গোল করেছে মোট ১২টি, বিপরীতে হজম করেছে মাত্র ২ গোল। ডিয়েগো প্লাসেন্তের কোচিংয়ে এই দলটি ভবিষ্যতের জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আর্জেন্টিনার সিনিয়র দল যখন ২০২৬ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন এই তরুণদের পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে আশাব্যঞ্জক—বিশেষ করে লিওনেল মেসিদের উত্তরসূরিদের জন্য।
নাইজেরিয়ার বিপক্ষে জয়টির মধ্য দিয়ে ১৪ বছর পর অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল আর্জেন্টিনা। সর্বশেষ ২০১১ সালে তারা শেষ আটে পৌঁছেছিল।
ম্যাচের শুরুতেই মাত্র ১ মিনিট ৬ সেকেন্ডের মাথায় গোল করে দলকে এগিয়ে নেন বায়ার লেভারকুসেনের ১৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড আলেহো সারকো। এটি অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার দ্রুততম গোল, যা ২০০১ সালে ফ্যাব্রিসিও কোলোচ্চিনির ২ মিনিটে করা গোলের রেকর্ড ভেঙে দেয়।
২৩ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে চমৎকার এক গোল করেন উইঙ্গার মাহের কারিজ্জো। বিরতির পর ৫৩ মিনিটে তিনি বাঁ পায়ের শটে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের তৃতীয় গোলটি করেন। ম্যাচের ৬৬ মিনিটে ইন্টার মায়ামির উইঙ্গার মাতেও সিলভেত্তি ডান প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বাঁ পায়ের নিচু শটে গোল করে ব্যবধান ৪-০ করেন।
আগামী রোববার বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টায় কোয়ার্টার ফাইনালে মেক্সিকোর মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে, শেষ ষোলোতে জাপানকে ১-০ গোলে হারিয়ে শেষ আটে উঠেছে ফ্রান্স, যাদের প্রতিপক্ষ নরওয়ে। প্যারাগুয়েকে ১-০ গোলে হারিয়ে শেষ আটে ওঠা নরওয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবে ফ্রান্সের। অপর কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেনের প্রতিপক্ষ কলম্বিয়া।





