এই পদযাত্রা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জয়যাত্রা: ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার পতনের আন্দোলনের এক দফা ঘোষণার পর প্রথম কর্মসূচির দিন আয়োজিত পদযাত্রা আমাদের আন্দোলন ও গণতন্ত্রের জয়যাত্রা। এ পদযাত্রা মানুষের অধিকার আদায়ের জয়যাত্রা, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জয়যাত্রা।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) মিরপুরের গাবতলীতে পদযাত্রার কর্মসূচি শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই দেশের মানুষ সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাই এখনি পদত্যাগ করতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আবারও পরিষ্কার করে বলছি অবৈধ শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন নয়। কারণ গতকাল ঢাকায় একটি নির্বাচনের তামাশা দেখেছি। সেখানে আওয়ামী লীগের থিংক ট্যাংকের হ্যাভিওয়েট একজন প্রার্থী হয়েছিলেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন হিরো আলম। সেখানে দেখলাম ভোটকেন্দ্রে কোনো ভোটার নাই। হিরো আলম কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নয় তার সঙ্গে ভোট করতে গিয়ে তাকে মেরে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়। পুলিশ প্রশাসন সেটি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সমস্ত তামাশা করে আর কোনো লাভ হবে না। ২০১৪ সালে ১৫৪ আসনে বিনা ভোটে জয়লাভ করেছেন। ২০১৮ সালের দিনের ভোট রাতে করেছেন। এই ধরনের ভোট হতে দেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, আজকে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে এই আন্দোলনের মাধ্যমে এক দফা দাবি আদায় করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।

বিএনপির পদযাত্রাটি গাবতলী থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন রুট ঘুরে পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজারে শেষ হওয়ার কথা।

বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে সমাবেশ মঞ্চে আরও উপস্থিত আছেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী, বিএনপি নেতা আব্দুল কাদের ভুইয়া, নাজিম উদ্দিন, যুবদলের সিনিয়র সভাপতি মামুন হাসান, ঢাকা উত্তর মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এম কফিল উদ্দিন আহমেদ এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান প্রমুখ।