ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় মঙ্গলবার আরও অন্তত ৬১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুজন ত্রাণপ্রার্থীও রয়েছেন। গাজা শহরের বিভিন্ন এলাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে শাতি শরণার্থী শিবিরে হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ২৩ জন।
এদিকে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে হামলায় দুই নারী নিহত ও ৩০ জন আহত হন। জাতিসংঘ জানিয়েছে, জিএইচএফ ত্রাণ কার্যক্রম শুরুর পর থেকে গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে নিহত হয়েছেন অন্তত ৮৭৫ জন।
ইসরায়েলি সেনারা গাজার উত্তরের ১৬টি এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এর মধ্যে জাবালিয়া এলাকাও রয়েছে, যেখানে স্থানীয়রা আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে পালাচ্ছেন। জ্বালানির অভাবে অনেকেই গাধা বা হেঁটে পালাচ্ছেন বলে জানান আল জাজিরার সংবাদদাতা মোয়াত আল-কাহলুত।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ সতর্ক করে বলেছে, অবরুদ্ধ গাজায় শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। সংস্থাটির প্রধান ফিলিপ লাজারিনি জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের শুরু থেকে প্রতি ১০ জন শিশুর মধ্যে একজন অপুষ্টিতে ভুগছে। ইউএনআরডব্লিউএ একে “মানবসৃষ্ট ও পরিকল্পিত দুর্ভিক্ষ” হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কাজা কাল্লাস ১০টি বিকল্প ব্যবস্থা প্রস্তাব করেন, যার মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি স্থগিত, বাণিজ্য সীমাবদ্ধতা, অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা সুবিধা বাতিলের মতো কঠোর পদক্ষেপ রয়েছে। তবে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ঐকমত্য না থাকায় এখনই কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।





