ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানকে পরাধীন করার মার্কিন প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় ফ্রন্ট গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইরান কখনই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নতিস্বীকার করবে না।
রোববার রাজধানী তেহরানের এক মসজিদে দেওয়া বক্তৃতায় খামেনি জানান, ইসরায়েলের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র আবারও ইরানকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে নেমেছে। সেই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সীমিতভাবে অংশ নিয়ে ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলাও চালিয়েছিল।
খামেনি অভিযোগ করে বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক আগ্রাসনের পরদিনই মার্কিন এজেন্টরা ইউরোপে বৈঠক ডেকে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের পতনের পর কাকে ক্ষমতায় বসানো হবে তা নিয়ে আলোচনা করেছে। তাঁর মতে, যুক্তরাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য হলো ইরানকে ওয়াশিংটনের অধীনস্ত করে ফেলা।
তবে সাম্প্রতিক যুদ্ধ ইরানকে দুর্বল করেনি, বরং আরও ঐক্যবদ্ধ করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। খামেনি বলেন, “ইরানি জাতি সেনাবাহিনী ও সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে শত্রুদের শক্ত বার্তা দিয়েছে।”
বিদেশি শক্তিগুলো ভেতর থেকে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। তাঁর ভাষায়, “আমেরিকা ও ইসরায়েলের এজেন্টরা ইরানি সমাজে ফাটল ধরাতে চাইছে। কিন্তু জনগণ আল্লাহর কৃপায় ঐক্যবদ্ধ।”
১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন রয়েছে। একের পর এক মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় ইরান বিশেষ করে পারমাণবিক কর্মসূচিতে বড় চাপের মুখে রয়েছে।
আগামী মঙ্গলবার ইউরোপের তিন দেশ—ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির সঙ্গে নতুন করে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে তেহরান। তবে ইউরোপীয় শক্তিগুলো স্পষ্ট করে জানিয়েছে, সমঝোতায় পৌঁছানো না গেলে আবারও ইরানের বিরুদ্ধে কড়া নিষেধাজ্ঞা ফিরিয়ে আনা হবে।





