মাত্র ২৫৮ রানের লক্ষ্য পাড়ি দিতে পারলো না টাইগাররা। ২১ রান দুরে থাকতেই থমকে যেতে হলো তাদের। এ নিয়ে এশিয়া কাপে চার ম্যাচ খেলে ১টি ম্যাচ জিতলো তারা। হারলো তিন ম্যাচে।
শ্রীলঙ্কার কাছে কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বললেন, এই এশিয়া কাপ হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য রিয়েলিটি চেক।
বরাবরই ব্যাটিং হচ্ছে যাচ্ছেতাই। এমন বাস্তবতা সামনে নিয়ে সাকিব বললেন, ‘ব্যাটিং নিয়ে আমি অবশ্যই চিন্তিত। বেশ কিছুদিন ধরেই আমরা ভালো ব্যাটিং করছি না। সে জায়গাগুলো দেখার এবং চিন্তা করার আছে যে কিভাবে ঠিক করতে পারি।
সামনেই বিশ্বকাপ। তার আগে বাংলাদশ দলের ক্রিকেটারদের কার কী অবস্থা, তা জানার জন্য এই এশিয়া কাপ খুব ভালো একটি অপশন হিসেবে পেয়েছেন অধিনায়ক সাকিব। এ কারণে বিশ্বকাপের আগে এই টুর্নামেন্ট খুবই কাজে দিয়েছে বলে মনে করেন অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘রিয়েলিটি চেকটা দরকার ছিল আমাদের জন্য।’
দ্বি-পক্ষীয় সিরিজ আর বড় আসরে খেলা বাংলাদেশ দলের মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্যও ধরা পড়ছে বাংলাদেশ অধিনায়কের চোখে। তিনি বলেন, ‘দ্বিপাক্ষিক সিরিজে আমরা সবসময়ই ভালো খেলি। বলতে পারবেন না যে আমরা কখনো খারাপ দল ছিলাম। এ ধরনের বড় টুর্নামেন্টগুলোতেই আমাদের বড় পরীক্ষাগুলো হয়। যেখানে আমরা কখনোই আহামরি কিছু করি না। ২০০৭ বিশ্বকাপে জিতেছি ৩টি ম্যাচ, ২০১১’র বিশ্বকাপেও তা-ই। ২০১৫ এবং ২০১৯ সালেও সেই তিনটি করেই জয়। অনেকে অনেক কথা বলতে পারে।’
‘কিন্তু যখনই ‘রিয়েলিটি চেক’টা হয়, তখন কিন্তু আমরা ব্যর্থই হয়েছি। এটি ভালো যে বিশ্বকাপের আগে আগে এই টুর্নামেন্টটি হয়েছে। সবাই অবশ্যই চিন্তা করবে এই সমস্যাগুলো কিভাবে সমাধান করা যায়। তখন হয়তো আরো ভালো হবে।’
টপ অর্ডারের ব্যাটারদের ব্যর্থতার কথা উঠলো সংবাদ সম্মেলনে। একটি বাজে বলেও আউট হতে দেখা গেছে কাউকে কাউকে। সাকিব বলেন, ‘একটি আউট নিয়ে বলে লাভ নেই। এরকম ট্রিকি উইকেটে ওপরের চারজন যদি একটি বড় জুটি গড়তে পারতাম, ড্রেসিংরুম অনেক বেশি শান্ত হয়ে যেত এবং (দলের) আত্মবিশ্বাসও বাড়তো। দ্রুত ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর সবসময়ই আমাদের খেলাটি বদলাতে হয়েছে। ওখান থেকে ফেরা কঠিন ছিল। যদিও একটি বড় জুটি হয়েছে (মুশফিকুর রহিম আর তাওহীদ হৃদয়ের ৭২), তবে আরো জুটি দরকার ছিল। ম্যাচ উইনিং ইনিংস খেলতে হতো হৃদয়কে।’
কলম্বোয় ২৫৭ রানও বাংলাদেশের সাধ্যের বাইরে ছিল, সাকিবের কথায় এমন ইঙ্গিতই মিলে। দিনের তুলনায় রাতে এখানকার উইকেটে রান করা সহজ হয়ে যাওয়ার পরও সুযোগটি নেওয়ার ক্ষেত্রে নিজেদের ব্যর্থতাই দেখলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘২৬০ (আসলে ২৫৮) তাড়া করতে হলে খুবই ভালো ব্যাটিং করতে হতো। এই উইকেটে ২৩০-২৪০ রান তাড়া করা সম্ভব। ২৬০ অবশ্যই বেশি ছিল। সেটিও বেশি মনে হতো না। যারাই ব্যাটিং করেছে, দিনের চেয়ে (রাতে) ভালো ছিল উইকেট। সেই সুযোগটি আমরা নিতে পারিনি। আর আমরা ২০ রান বেশি দিয়ে ফেলেছি।’