বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা ২০ শতাংশ বৃদ্ধি, মেডিকেল ভাতা ১,৫০০ টাকা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা ঘোষণার দাবিতে রাজধানীতে শুরু হয়েছে ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি। মঙ্গলবার সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষকরা সমবেত হতে থাকেন। দুপুর নাগাদ সেখানে কয়েক হাজার শিক্ষক ও কর্মচারী উপস্থিত হন।
প্রথমে দুপুর ১২টায় কর্মসূচি শুরুর ঘোষণা থাকলেও পরে সময় পরিবর্তন করে বিকেল ৪টায় তা শুরু করা হয়। শহিদ মিনার থেকে সচিবালয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরুর আগে শিক্ষকরা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া সম্বলিত ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
এদিকে সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ প্রশাসনও ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। সচিবালয়ের দিকে যাওয়া মূল সড়কগুলোয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শিক্ষা ভবন মোড়ের আগেই হাইকোর্ট মাজারগেটে অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। দোয়েল চত্বর থেকে মৎস্য ভবন এবং মৎস্য ভবন থেকে দোয়েল চত্বরগামী সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি পুলিশের জলকামানও প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যেন কোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়।
শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন, সরকার তাদের দাবিগুলোর বিষয়ে দ্রুত প্রজ্ঞাপন না দিলে কর্মসূচি আরও বর্ধিত করা হবে। তারা স্পষ্ট করে বলেন, “২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা, ১,৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত কোনো শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করবেন না।”
তাদের ভাষায়, সরকার দীর্ঘদিন ধরে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসলেও বাস্তবায়ন না হওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে আন্দোলনের পথে নেমেছেন। শিক্ষক সমাজের এই আন্দোলন যেন নতুন করে শিক্ষা খাতে অচলাবস্থার আশঙ্কা তৈরি করেছে।





